স্থায়ী ফর্সা হওয়ার উপায় ,(জেনে নিন ১২টি উপায়)
আমেরিকা স্টুডেন্ট ভিসা খরচ ২০২৪,বিস্তারিত জেনে নিন। আজকে আমি আলোচনা করব স্থায়ী ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে। অনেকেই জানতে চান
কিভাবে স্থায়ীভাবে ফর্সা হওয়া যায়। তাই আজকের এই আর্টিকেলে বিস্তারিত ভাবে
আলোচনা করব স্থায়ী ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে। আল্লাহ তাআলা মানুষকে
সৃষ্টি করে তার নিজের মতন করে। কিন্তু সে মানুষকে আমরা বিভিন্নভাবে ভেদাভেদ করি।
বর্তমান সমাজে মানুষ মানুষকে মূল্যায়ন করে গায়ের রং ফর্সা দেখে। বর্তমান সমাজে
গায়ের রং ফর্সা ব্যক্তিদের বেশি মূল্যায়ন করা হয়। তাই গায়ের রং ফর্সা করার
জন্য আমরা কত রকমের কেমিক্যাল যুক্ত ক্রিম ইউজ করি। ফলাফল সাময়িকভাবে ফর্সা হলেও
পরবর্তীতে এটা সেই আগের চেয়ে আরো বেশি গায়ের রং কে খারাপ করে দেয়।
তাই এই সমস্যার সমাধান হিসাবে কিছু প্রাকৃতিক জিনিস ব্যবহারের বিষয়ে আজকের এই
স্থায়ী ফর্সা হওয়ার উপায় আর্টিকেলটিতে আলোচনা করতে চলেছে। আপনি যদি
স্থায়ী ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান। এবং স্থায়ীভাবে
গায়ের রং ফর্সা করতে চান। তাহলে আজকের এই স্থায়ী ফর্সা হওয়ার উপায় আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ে নিন। তো চলুন দেরি না করে আমরা জেনে
নেই স্থায়ী ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে।
কাঁচা হলুদ খেলে কি গায়ের রং ফর্সা হয়?
হলুদ এমন একটি প্রাকৃতিক উপাদান। হলুদে থাকা উপাদান গায়ের ত্বক ফর্সা ও
লাবণ্যময় করে তুলতে খুব ভালো ভূমিকা রাখে। প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে দুধের সাথে
কাঁচা হলুদ মিশিয়ে খেলে ধীরে ধীরে ত্বকের রং ফর্সা হয় এবং লাবণ্যতা ফিরে আসে।
হলুদে থাকা উপাদান পলিফেনল চোখের অসুখ ক্রনিক আন্টিরিয়ার ইউভেইটিজ সারাতে
কর্টিকোস্টেরয়ডের কাজ করে।
ফর্সা হতে গেলে কি খাওয়া উচিত?
সকলেই ফর্সা এবং মসৃণ ত্বক চাই। কারণ ফর্সা ত্বক সবার পছন্দ। কিন্তু অনেকে
সময়মতো নিয়মিত ত্বকের যত্ন না নেওয়ার ফলে ত্বক খারাপ হয়ে যায়। এর জন্য অনেক
নামি-দামি কসমেটিক ব্যবহারের পরও ত্বকের সৌন্দর্য ঠিক থাকে না। কিন্তু
নিয়মিতভাবে প্রাকৃতিকভাবে ঘরোয়া উপায় কিছু উপাদান ব্যবহারের মাধ্যমে এবং কিছু
খাবারের মাধ্যমে আপনি প্রাকৃতিকভাবে ফর্সা হতে পারেন। এবং এই ফর্সা চিরস্থায়ী
হতে পারে ।খাবারগুলো হল-
- পানি ত্বকের জন্য খুব উপকারী তাই প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে।
- গ্রিন টি ত্বকের জন্য খুব উপকারী।
- টমেটো ত্বকের জন্য খুব উপকারী।
- গাজরে থাকা ভিটামিন ত্বকের জন্য খুব উপকারী।
- বাদাম ত্বকের জন্য খুব উপকারী।
- কলা।
- ফাটি এসিড সমৃদ্ধ মাছ।
স্থায়ী ফর্সা হওয়ার উপায়
সৌন্দর্যের পরিমাপক একক হয় না তবুও আমাদের সমাজে ফর্সা রং কে বেশি আকর্ষণীয় বলে
স্বীকার করা হয়। আবার কালো রং কে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করে বিভিন্নভাবে কথাবার্তা বলা
হয়। যার কারণে গায়ের রং কালো বাক্তিরা বাজারে বিভিন্ন ধরনের কেমিক্যাল যুক্ত
প্রোডাক্ট গায়ের রং ফর্সা করার জন্য ব্যবহার করছে।
যার ফলে দেখা যাচ্ছে কিছু টা গায়ের রং ফর্সা হচ্ছে কিন্তু সেটা স্থায়িত্ব না
এবং কিছুদিন পরে ত্বকের অবস্থা খুব খারাপ হয়ে যাচ্ছে।পরবর্তীতে ত্বক আরো কালো
হয়ে যাচ্ছে। তাই সমস্যার সমাধানের জন্য ঘরোয়া কিছু উপায় অবলম্বনের মাধ্যমে
আপনি প্রাকৃতিকভাবে স্থায়ীভাবে ফর্সা হতে পারেন।
যার কোন সাইট ইফেক্ট নেই এবং ত্বকের কোন সমস্যা হয় না। এবং সৌন্দর্য ধরে থাকে
আজীবন। নিচে প্রাকৃতিকভাবে ঘরোয়া উপায়ে ধবধবে ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে
বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
১. লেবুর ব্যবহার
এক পিচ ভালো লেবু নিয়ে কেটে রস বের করে নিতে হবে। সেখান থেকে দুই চা চামচ লেবুর
রস নিয়ে এক চা চামচ পানিতে মিশাতে হবে। এবার মিশ্রিত মিশ্রণটি ত্বকে ব্যবহার
করতে হবে। লেবুর রসের সঙ্গে সমপরিমাণ মধু মিশিয়ে তোকে ব্যবহার করতে হবে। এবার
মিশ্রণটি ব্যবহারের মিনিট দশেক অপেক্ষা করে ধুয়ে ফেলতে হবে। তবে ব্যবহার করার
আগে মিশ্রণটি ত্বকের জন্য ব্যবহার্য হবে কিনা তা যাচাই করার জন্য গলায় অথবা
কানের পিছনে লাগিয়ে দেখুন।
যদি কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া না দেখা দেয় তাহলে ব্যবহার করবেন। লেবুতে থাকা
ভিটামিন সি যা ত্বকের সব ধরনের দাগ পরিষ্কার করতে পারেন। যার ফলে ত্বক হয় স্বচ্ছ
এবং ত্বকের শুষ্কতা কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করে। যার ফলে ত্বক হয়ে উঠে আরও উজ্জ্বল
ও লাবণ্যময়। লেবুর ব্লিচিং উপাদানককে ভেতর থেকে দাগ মুক্ত করে সেই সাথে রোদে
পোড়া দাগ সহজে দূর করে।
২. টমেটো ও ওটমিল
টমেটো ও ওটমিল এই দুটো উপকরণ আপনার ত্বককে ফর্সা বানাতে অথবা পরিষ্কার করতে
প্রচন্ড ভাবে সাহায্য করে।ওটমিল এর ব্যবহার আপনার মৃত কোষগুলোকে অপসারণ করে এবং
টমেটোর ব্যবহার আপনার ত্বককে ফর্সা এবং আকর্ষণীয় বানাতে সাহায্য করে। এগুলো
উপাদান প্রয়োগ করার জন্য প্রথমে ওঠমিল এবং টমেটো এই দুটিকে একসাথে মিশিয়ে পেস্ট
তৈরি করতে হবে।
এরপরে এই পেস্ট কে আপনার ত্বকের উপর ভালোভাবে লাগাতে হবে।এবং এইভাবে ২০ থেকে ৩০
মিনিট আপনার ত্বকে রাখতে হবে। তারপর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে। এইভাবে
সপ্তাহে দুই দিন ব্যবহারের ফলে ফর্সা হয়ে যাবেন। এবং ত্বকের লাবণ্যতা গভীর থেকে
ফুটে তোলে।
৩. হলুদের ব্যবহার
এক চা চামচ কাঁচা হলুদ বেটে নিন। তার সাথে ২ চা চামচ লেবুর রস। মিশ্রণ দুটি
ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে। তারপর মিশ্রণটি মুখে ভালোভাবে মেখে নিতে হবে। এবার
সূর্যের তাপের কারণে ত্বকের যে স্থানগুলো কালচে হয়ে গেছে সেখানে ব্যবহার করুন।
এবার এই মিশ্রণটি ১৫ মিনিট ত্বকে রাখার পরে হালকা গরম পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে
নিতে হবে।
সপ্তাহে দুইবার এভাবে ব্যবহার করুন। এভাবে কিছুদিন ব্যবহারের ফলে আপনার ত্বক
ফর্সা হওয়া শুরু হয়ে যাবে। হলুদের থাকা অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল এবং এন্টি
ইনফ্লোমেটরি উপাদান ত্বককে সব ধরনের জীবাণু থেকে দূরে রাখে। সে সঙ্গে ত্বককে
দ্রুত ফর্সা করতে সাহায্য করে। এবং ত্বককে ভিতর থেকে পরিষ্কার করতে সাহায্য করে।
এছাড়াও হলুদ আমাদের ত্বকে বয়সের সাপ পড়তে বাধা দেই। ফলে ত্বক থাকে টনটনে।
ত্বকে ব্যবহারের পাশাপাশি খালি পেটে এক টুকরো কাঁচা হলুদ খেতে পারলে সেটিও আপনার
শরীর থেকে টক্সিন বের করে দিতে সাহায্য করে।
৪. এলোভেরা
এলোভেরা খুব সহজে পাওয়া যায় এমন এক ধরনের ঔষধি গাছ। এলোভেরা জেল ত্বককে ফর্সা
করার একটি অসাধারণ ঘরোয়া পদ্ধতি কারণ ইহাতে এন্থ্রাক্যুনোন কম্পাউন্ড থাকে যা
ত্বকের উপরিভাগে থাকা লাবণ্য তাকে ঢেকে রাখা আবরণ সরিয়ে ভিতর থেকে লুকিয়ে থাকা
ফর্সা ত্বককে বাইরে বেরিয়ে আনতে সাহায্য করে।
এলোভেরা জেল লাগানো ছাড়াও আপনার লোশন বা ক্রিম লাগাতে পারেন। এলোভেরা পাতা অথবা
অ্যালোভেরা জেল সমস্ত শরীল ভালোভাবে লাগিয়ে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন শুকিয়ে
যাওয়া পর্যন্ত। তারপর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। ভালো ফলাফল পাওয়ার
জন্য এর ব্যবহার প্রতিদিন করা উচিত।
৫. কমলালেবু
কমলা লেবুতে থাকা ভিটামিন সি যা আমাদের ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। আমাদের ত্বকে
অনেক রকমের সমস্যা আছে যার প্রতিকার হিসেবে কমলা খুব ভালো কাজ করে। কমলালেবুর
ব্যবহারের ফলে আপনার ত্বক ফর্সা এবং চমৎকার হয়ে উঠতে সাহায্য করে। কমলালেবুর রস
হলুদ গুঁড়োর সাথে মিশিয়ে নিন।
এবার এই পেস্ট আপনার ত্বকের উপর লাগিয়ে সারারাত রেখে দিন। এবং সকালবেলা উষ্ণ গরম
পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। ভালোভাবে উপকার পাওয়ার জন্য এই উপাদানগুলির পেস্ট আপনি
প্রত্যেকদিন ব্যবহার করতে পারেন। এতে করে খুব দ্রুত উপকার পাওয়া যায়।
৬. দুধের ব্যবহার
এক টেবিল চামচ দুধ ও এক চা চামচ মধু নিন। এরপর মধু ও দুধ ভালো ভাবে মিশিয়ে নিন।
এবার মেশানো হয়ে গেলে মিশ্রণটি ভালোভাবে মুখে লাগিয়ে নিন।এরপর ১৫ মিনিট অপেক্ষা
করুন শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত। শুকিয়ে গেলে হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে নিন।
এভাবে প্রতিদিন আপনি মিশ্রণটি ত্বকে ব্যবহার করতে পারেন।
এটি প্রতিদিন ব্যবহারের ফলে ত্বকের উজ্জ্বলতা দ্রুত আসে।যদি থাকা প্রাকৃতিক
উপাদানগুলো ত্বকের রংকে ভিতর থেকে হালকা করে। সেই সাথে এটি বাইরে থেকে আদ্রতা
এবংমসৃণ করে তোলে। প্রতিদিন ব্যবহারের ফলে ত্বক আরো উজ্জ্বল হয়ে উঠে।
৭. যষ্টিমধু
যষ্টি মধু অনেকগুলো রোগের ওষুধ হিসেবে কাজ করে। যেমন যষ্টি মধু এর রসট্যাঁন এবং
ড্রাগনেস কম করে।যষ্টিমধু সূর্যের ফলে খারাপ হওয়া ত্বকের ভালো করার জন্য কাজ
করে। এটি প্রত্যেকদিন ব্যবহারের ফলে আপনার ত্বক ফর্সা এবং চমৎকার দেখায়।এটি
ব্যবহার করার জন্য প্রথমে যষ্টিমধুর রস তৈরি করে নিতে হয় এবং রাতে ঘুমানোর আগে
রসে তুলা ভিজিয়ে ত্বকের উপর লাগাতে হবে।পরের দিন সকালে ত্বকে উষ্ণ গরম পানি
দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে। আরো ভালো উপকার পাওয়ার জন্য এই পদ্ধতি প্রতিদিন ব্যবহার
করতে পারেন।
৮. বেসন
বেসন আমাদের ত্বককে ফর্সা করতে সাহায্য করে। ইহা এক্সফলিয়েটর এর মত কাজ করে যা
টানকে দূর করে এবং যেকোনো রকমের কালো স্পট কমাতে সাহায্য করে। বেসনের ব্যবহার
আপনার ত্বককে প্রাকৃতিকভাবে ফর্সা ভাব আনতে সাহায্য করে।৫চা চামচ বেসন এবং এক
চামচ হলুদ গুঁড়ো একসাথে মিশিয়ে নিতে হবে।
এখন এই পেস্টকে ত্বকের উপর ভালো করে লাগিয়ে নিতে হবে এবং ২০ মিনিট রেখে দিয়ে
তারপর ত্বককে উষ্ণ গরম পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে। আরো ভালো ফলাফল পাওয়ার জন্য
প্রতিদিন গোসলের আগে বেসনের ব্যবহার করা ভালো।
৯. গোলাপজল
গোলাপজল ভিটামিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট দ্বারা সমৃদ্ধ থাকে। যা আমাদের ত্বককে
কমল এবং মোলায়েম বানায়। এবং ইহা আমাদের ত্বকে থাকা মৃত কোষগুলোকে দূর করে এবং
ত্বকের টোন কে আরো ভালো করতে সাহায্য করে। গোলাপ জলকে সঠিক মাত্রায় ব্যবহার করতে
সবার প্রথমে ৪চা চামচ জই আধা ঘন্টার জন্য উষ্ণ জলে ভিজে দিতে হবে।
আধ ঘন্টা হয়ে গেলে তা জল থেকে বের করে নিয়ে তাতে গোলাপজল এবং অর্ধেক চামচ দই
মিশাতে হবে। এরপরে আপনি ত্বককে জল দিয়ে ধুয়ে নিন। ভালো ফলাফল পেতে আপনি পেস্ট
এর ব্যবহার দিনে দুইবার করতে পারেন।
১০. আখরোট
আখরোটে থাকা ভিটামিন প্রোটিন যা আপনার ত্বককে স্বাস্থ্যকর ফর্সা এবং চমৎকার হতে
সাহায্য করবে। পানিতে ভেজা বাদাম এবং আখরোটকে মিক্সচারে মেশানোর জন্য ঢেলে দিন।
এবার এর মধ্যে দুই এবং তিসি মিশিয়ে দিন। ভালোভাবে পেস্ট তৈরি হওয়ার পর এটিকে
আপনি আপনার ত্বকের উপর লাগান। এবার ১০মিনিট এই পেস্ট কে ত্বকে রেখে দিতে হবে।
তারপর ত্বক ঠান্ডা পানি দিয়ে পরিষ্কার করে নিতে হবে। ভালো ফলাফলের জন্য দিনে এই
পেস্ট দুইবার ব্যবহার করতে পারেন।
১১. দই এর ব্যবহার
২ টেবিল চামচ টক দই এবং এক চামচ মধু নিন। এবার এই দুই উপাদান ভালোভাবে মিশিয়ে
নিন। এরপর পরিষ্কার ত্বকে মিশ্রণটি ভালোভাবে ব্যবহার করুন। মিশ্রণটি ১৫মিনিট
ত্বকে রাখার পরে পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে নিন। এই মিশ্রণ টি ত্বককে দ্রুত
উজ্জ্বল করে তুলবে। দয়ে থাকা উপাদান আমাদের ত্বকের ক্ষুদ্র লোমকূপে জমে থাকা
ময়লা দূর করতে সাহায্য করে।
হলে ত্বক গভীর থেকে পরিষ্কার হয়। প্রতিদিন ত্বকে টক দই ব্যবহার করলে তা ত্বককে
ফর্সা করে তোলে। তোকে ব্যবহারের পাশাপাশি টক দই নিয়মিত খাওয়ার ফলে অনেক উপকার
পাওয়া যায়।
১২. চালের গুঁড়ো
চালের গুড়ার মধ্যে প্যারা এমিনোবেঞ্জয়ীক এসিড থাকে ।যা আপনার ত্বককে সূর্যের
রোদ থেকে বাঁচানো ছাড়াও শরীরের ভিটামিন সি এর স্তর অটুট রাখে। চালের গুঁড়ো তে
ভিটামিন সি, ভিটামিন ই, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ফেরুলিক এসিড দ্বারা ভরপুর থাকে।
এ কারণে চালের গুঁড়ো হাইড্রেটিং এবং ত্বককে আদ্র করতে সাহায্য করে।কাঁচা চাল
বেটে নিন এবং পাউডার তৈরি করে নিন।
এবং এই পাউডারের সমপরিমাণ দুধ মিশাতে হবে। যাতে এটি মোলায়েম পেস্ট তৈরি হতে
পারে। এবার এই পেস্ট আপনি ত্বকে ভালোভাবে লাগিয়ে নিন। এবং আধাঘন্টা রেখে ঠান্ডা
পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে নিন। ভালো ফলাফল পাওয়ার জন্য এই পেস্ট সপ্তাহে দুই
দিন ব্যবহার করতে পারেন।
শেষ কথা - স্থায়ী ফর্সা হওয়ার উপায়
প্রতিটি মানুষ চাই তার ত্বক ফর্সা হোক। কারণ ফর্সা সকলের পছন্দ। ত্বক ফর্সা করার
জন্য কত জন কত রকমের কেমিক্যালযুক্ত প্রোডাক্ট ব্যবহার করছে। এ ব্যবহার ফলে
সাময়িক সময়ের জন্য ত্বক ফর্সা হলেও পরবর্তীতে তা ত্বকের জন্য খুব খারাপ হয়ে
যাচ্ছে। অথচ কিছু ঘরোয়া প্রাকৃতিক উপায় অবলম্বনের মাধ্যমে আপনি চিরস্থায়ী
ফর্সা হয়ে যেতে পারেন।
ফর্সা সকলেরই কাম্য তাই ফর্সা হওয়ার জন্য প্রাকৃতিক এবং ঘরোয়া উপায় অবলম্বন
করায় সবচেয়ে উত্তম। কারণ এই উপায় ব্যবহারের ফলে কোন রকমের পার্শ্ব
প্রতিক্রিয়া থাকে না। প্রিয় পাঠক, আপনি যদি প্রাকৃতিক ভাবে স্থায়ী ফর্সা
হওয়ার উপায় সম্পর্কে জানতে চান তাহলে এই পোস্টটি আপনার জন্য খুব কার্যকরী
হবে।
আমার এই পোস্টটি পড়ে যদি আপনার ভালো লাগে।তাহলে আপনি আপনার বন্ধুদের মাঝে শেয়ার
করতে ভুলবেন না এবং আরো কিছু জানার থাকলে কমেন্ট বক্সে জানিয়ে দিন, ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url